চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে পোস্টার ছাপিয়ে তৃণমূলের সংসদ সদস্য নুসরাত জাহানের খোঁজ করেন তার নির্বাচনি এলাকার মানুষ। দীর্ঘ দিন ধরে নির্বাচনি এলাকায় না যাওয়ার কারণে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন বলে দাবি বসিরহাটের এক বাসিন্দার। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল; বিড়ম্বনায় পড়েছিলেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও।
‘নিখোঁজ’ নুসরাতের পোস্টার নিয়ে অন্তর্জালে জোর আলোচনা হয়েছে। কিন্তু নুসরাত জাহান কোথায়? এ নিয়ে তারই বা বক্তব্য কী? এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর ওই সময়ে পাওয়া যায়নি। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন নুসরাত। বসিরহাটে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন যশ-ঘরণী।
এসব আলোচনায় কিছু যায় আসে না নুসরাতের। তা জানিয়ে নুসরাত জাহান বলেন—‘বসিরহাটের মানুষের যখন প্রয়োজন তখনই বসিরহাটের মানুষ আমাকে পেয়েছেন। বসিরহাটের মানুষের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব। করোনাকালেও আমি এসেছি। আম্ফান ঝড়ের সময়ও কিন্তু আমি এখানে পৌঁছেছিলাম। পোস্টারের বিষয়টি টোটালি ফেক। কেউ কেউ ফেক পোস্টার মেরে আমার ছবি ব্যবহার করে আমার বদনাম করার চেষ্টা করছে। তাতে আমার কিছু যায় আসে না।’
হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বসিরহাট কলেজের গভর্নর গভর্নিং বডির মিটিংয়ে যোগ দিতে বসিরহাট গিয়েছিলেন নুসরাত জাহান। পাশাপাশি কলেজের সংস্কার ও উন্নয়নমূলক কাজ তদারকি করেন। তা ছাড়াও নিজের কেন্দ্রের বেশ কিছু জায়গা ঘুরে দেখেন এই অভিনেত্রী।
উল্লেখ্য, উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া বিধানসভা এলাকার চাঁপাতলায় নুসরাত জাহানের সন্ধান চেয়ে পোস্টার ছাপানো হয়েছিল। গত ১৫ মে রাতের অন্ধকারে এই পোস্টার এলাকার বিভিন্ন স্থানে সাঁটানো হয়। তাতে লেখা হয়—‘নিখোঁজ সংবাদ। বসিরহাটের এমপি নুসরাত জাহান নিখোঁজ। সন্ধান চাই। প্রচারে তৃণমূল কর্মীবৃন্দ।’ আবার কোনো কোনো পোস্টারের প্রচারের জায়গায় লেখা হয়—‘প্রতারিত জনগণ’।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।